ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় অটোরিক্সা চালক হোসাইয়া হত্যা মামলার আসামিরা অধরা

mail-google-comপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় অটোরিক্সা চালক মো.হোছাইন প্রকাশ হোসাইয়া হত্যা মামলাটি সিআইডিতে। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলাটি গত পাঁচ মাস আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা সিআইডিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। হত্যার ক্লু ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে সিআইডির পক্ষ থেকে একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বাদি পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় ফের জিডি দায়ের করেন। আসামিরা অধরায় আছে। মামলা তুলে নিতে তারা প্রতিনিয়ত বাদিকে প্রাননাশ হুমকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি অব্যহত রেখেছে। এর সুত্র ধরে মামলার বাদি অটোরিক্সা চালক মো.হোছাইনের মা হামিদা বেগম তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৮ সেপ্টম্বর পেকুয়া থানায় একটি সাধরন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। যার নং-৯৬২/১৬। জানা গেছে চলতি বছরের ২৬মার্চ গভীর রাতে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গর্জনীয়া পাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে অটোরিক্সা চালক মো.হোছাইন প্রকাশ হোসাইয়া (১৮)কে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে। পরের দিন ২৭মার্চ একই ইউনিয়নের টেইট্যাখালী নির্জন বিলের ধান ক্ষেতে সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় হোসাইয়ার মা হামিদা বেগম বাদি হয়ে ওইদিন পেকুয়া থানায় একটি মামলা রুজু করে। যার জিআর নং-৩৭/১৬। মামলায় টইটং ইউনিয়নের কেরনছড়ি এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আতাউল্লাহ, মুফিজুর রহমানের ছেলে রুবেল, কাছারীপাহাড় এলাকার তালেকের ছেলে রেজাউল করিম, বাজারপাড়া এলাকার মৃত.নজির আহমদের চার ছেলে আলী আহমদ, মো.আলী, রমজান আলী, এনায়েত উল্লাহ, নজির আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও মেয়ে জয়নাব বেগমকে আসামি করে। পুলিশ ওইদিন নজির আহমদের ছেলে আব্দু রহমানকে টইটং বাজার থেকে আটক করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপর দু’আসামি রুবেল ও রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে। আসামিদের মধ্যে আব্দু রহমান ও রেজাউল করিম বর্তমানে জেল হাজতে আছে। রুবেল গত দু’সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়। জানা গেছে গত ২৬মার্চ রাতে অটোরিক্সা চালক মো.হোছাইন দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। তিনি ভাড়ায় অটোরিক্সা চালাতেন। মামলার বাদি হামিদা বেগম জানায় সিএনজি ছিনতাই করতে আসামি আব্দু রহমান তার বোন জয়নাব বেগমকে দিয়ে রাতে আমার ছেলেকে মুঠোফোন করে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই মেয়ে হোছাইনকে কাছারীমুড়া পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। তারা রশি দিয়ে পিছমুড়া হাত-পা বেঁধে গলার পিছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে জবাই করে। পরে তার মৃতদেহ নজির আহমদের বাড়ির পুর্বপাশে টেইট্যাখালী নির্জন বিলের ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়। আসামি রুবেল জামিনে বের হয়ে এলাকায় অবস্থান করছে। অপর আসামিরা বাড়িতে আছে। মামলার পর থেকে আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আসামিরা গত কিছুদিন আগে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। তারা আমার বাড়ির আশেপাশে প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত ঘুরাফেরা করছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক ও ভয়ংকর। যেকোন মুর্হুতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরও ছেলের মত খুন খারাপি করতে পারে। আমি ও পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সিআইডি কক্সবাজার ব্রাঞ্চের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানায় হত্যার বিষয়টি খোলসা হয়েছে। ক্লু ও রহস্য উদঘাটন হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) প্রেরন করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে আমরা অত্যন্ত তৎপর। ভয়ভীতি ও হুমকির বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল।

পাঠকের মতামত: